শেরপুরের শ্রীবরদীতে আব্দুল আউয়াল বুলবুল (৪০) নামে এক প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি বুলবুলের এ মৃত্যু রহস্যজনক।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রোববার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরআগে শনিবার রাতে উপজেলা পৌর শহরের মধুরাদি এলাকার আবুল কাশেমের বাসার তিন তলার একটি কক্ষ থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। বুলবুল ওই কক্ষে ভাড়া থাকতেন।
বুলবুলের বাড়ি টাঙ্গাইলের করটিয়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের শামছুল সওদাগরের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রজেক্টের এপিআর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে প্রকৌশলী পদে কর্মরত ছিলেন আব্দুল আউয়াল বুলবুল। প্রায় এক বছর ধরে উপজেলা সদরের সাতানী শ্রীবরদী মহল্লার আবুল কাশেমের বাড়ির তিন তলার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। শনিবার সন্ধ্যা থেকে তাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। ঠিকাদারের লোকজন গিয়ে ওই কক্ষের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখতে পান।
এ সময় অনেক ডাকাডাকি করার পরেও তার কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়া যাওয়ায় জানালা দিয়ে তার লাশ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে পুলিশ সদস্যরা দরজা কেটে ভিতরে ঢুকে বুলবুলের লাশ উদ্ধার করে।
এপিআর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক অনিল বলেন, “শনিবার সন্ধ্যায় বুলবুল সাহেবকে ফোনে না পেয়ে আমরা এসে দেখি ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। পরে জানালা দিয়ে তার লাশ দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।”
অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা ওই প্রকৌশলীর মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক বলে দাবি করেছেন।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, “এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।”